রসায়নে নোবেল জিতলেন দাবাড়ু ডেমিস হাসাবিস
১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪২ পিএম | আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪২ পিএম
ডেমিস হাসাবিস। ২৭ শে জুলাই, ১৯৭৬ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে জন্ম। একজন সুপরিচিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) গবেষক, স্নায়ুবিজ্ঞানী, কম্পিউটার গেম ডিজাইনার। কাজ করছেন গুগলের ডিপমাইন্ড প্রজেক্টে। সেই সঙ্গে তার আরও একটা পরিচয় আছে, দাবা মাস্টার।
প্রোটিনের কাঠামোর বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করার একটি মডেল আবিষ্কার করায় এ বছর যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন ডেমিস হাসাবিস। তার সঙ্গী হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মানজনক এই পুরস্কারটি জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেভিড বেকার এবং স্বদেশি জন জাম্পার।
বিজ্ঞানী হাসাবিসের নোবেল জয় আলোড়ন তুলেছে বিশ্ব দাবা অঙ্গনেও। হবেই না কেন, দাবার চালেও যে সিদ্ধহস্ত তিনি। ২৩০০ ইলো রেটিং নিয়ে মাত্র ১৩ বছর বয়সেই ফিদে মাস্টার খেতাব অর্জন করেছিলেন। সেই সময়, অনূর্ধ্ব-১৪ বছর বয়সী দাবাড়ুদের মধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা ছিলেন তিনি। তার সামনে ছিলেন কেবল কিংবদন্তী দাবাড়ু জুডিথ পোলগার।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নারী দাবাড়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয় জুডিথকে। ১৯৯১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সেই তৎকালীন সময়ের সর্বকনিষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন নারী এই দাবাড়ু। জানা গেছে, ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকটি জুনিয়র দাবা দলেরও নেতৃত্বে ছিলেন ডেমিস হাসাবিস। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো দাবাড়ু স্টকহোমে প্রেস্টিজিয়াস নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। বিজ্ঞানের পাশাপাশি দাবাতেও তার অবদান অনস্বীকার্য। দাবা বোর্ড থেকে নোবেল পুরস্কার জয় অনেকের জন্য হতে পারে অনুপ্রেরণারও।
উল্লেখ্য, ১৯০১ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার নোবেল। এ পুরস্কারটির নামকরণ করা হয়েছে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নাম অনুসারে। ঊনবিংশ শতকের এই বিজ্ঞানী শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিনামাইট আবিষ্কার করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছিলেন। তিনি উইল করে গিয়েছিলেন যে তার যাবতীয় অর্থ থেকে যেন প্রতি বছর পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্য— এই ৫টি খাতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৯৬৯ সাল থেকে এই ৫ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনীতিও।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কুরআন শিক্ষা বোর্ড ঢাকা মহানগর উত্তরের নগর সম্মেলন অনুষ্ঠিত
এবি ব্যাংক পিএলসি. এর "বিজনেস রিভিউ মিটিং" অনুষ্ঠিত
উথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেল সোনালী লাইফ
নেতাকর্মীদের রেখে লক্ষণ সেনের মত পালিয়ে গেছে স্বৈরাচার: ব্যারিস্টার সালাম
অভিনেতা অপূর্বকে নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যাচার
বরিশালে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অংশীজন সভায় প্রধান প্রকৌশলী
দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক উর্ধ্বগতিতে সাধারণ ক্রেতাদের নাভিশ্বাস
সংস্কারোত্তর পিআর পদ্ধতিতেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে
‘শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে’
‘রাষ্ট্রের সকল স্তরে ইসলামী সংস্কৃতির অনুশীলন নিশ্চিত করতে হবে’
মেট্রোকে থামিয়ে ফাইনালে রংপুর
৪৩ বছর পর কুয়েতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী
আমরা আল্লাহর উপরে ভরসা করি, হাসিনার ভরসা ভারতে: দুলু
মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল, কানাডায় কি ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন ট্রুডো?
পাকিস্তান থেকে যেসব পণ্য নিয়ে এবার এলো জাহাজ
ভারতের সেবাদাসী হাসিনাকে পুনর্বাসনে এবার জঙ্গি মিশনে তারা!
মাহফুজকে উপদেষ্টা থেকে বাদ দেওয়া উচিত? যা বললেন ড. জাহেদ
৬ বছরের মধ্যেই চীনের হাতে হাজার পরমাণু বোমা! উদ্বেগ যুক্তরাষ্ট্রের
বিগত সময়ে দলীয় স্বার্থ উদ্ধারে বড় ধরনের অপরাধ করেছে পুলিশ, এ জন্য আমরা লজ্জিত: আইজিপি
ব্রাহ্মণপাড়ায় পাঁচ দিনেও খোঁজ মিলেনি নিখোঁজ সোহাগের